1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
সেনাবাহিনীর সহায়তায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন হাসনাত-সারজিসরা পাইকগাছায় ১৬ জুলাই শহিদ দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  খুলনার দিঘলিয়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সমাধানে ইউএনও’র তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ লোহাগড়ায় জমি নিয়ে বিরোধ;পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে হত্যা কেশবপুরে ১৮ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু শিক্ষার্থী পেল সহায়তা গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে  সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছে – বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশের মানুষকে গোপালগঞ্জে ছুটে আসার আহ্বান – সারজিস আলম রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ ১৪৪ ধারা জারি – জেলা প্রশাসক সমাবেশ শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে আবারও-হামলা ! অ’বরুদ্ধ এনসিপি নেতাকর্মীরা ফকিরহাটে গরুর ঘাস কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি খুলনায় জুলাই শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাবেশ মঞ্চে এনসিপি নেতারা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি কে বা/ন/চা/ল করতেই গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর পদযাত্রা কর্মসূচি বানচাল করতেই গোপালগঞ্জে ইউএনও’র গাড়িতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলা-ভাঙচুর আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে ‘জুলাই শহীদ দিবস’- এর কর্মসূচি শুরু জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর জুলাই পদযাত্রা কে বানচাল করতেই গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে হামলা খুলনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে – মনিরুজ্জামান মন্টু

প্লাস্টিক সামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভিড়ে, বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৭ বার শেয়ার হয়েছে

অদিতি সাহা, খুলনার খবর ||খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাটবাজারে প্লাস্টিকসামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভিড়ে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজানো গ্রামীণ সংস্কৃতির নানা উপকরণাদি ও গৃহস্থালির নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান।

জানা গেছে, ডুমুরিয়ার পালপাড়া মৃৎশিল্প তৈরিকারক পরিবারগুলোর সদস্যদের মাঝে অভাব-অনটন এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার। কারণ বাজারে তাদের তৈরি পণ্যের কদর নেই। তাই বদলে যাচ্ছে কুমারপাড়ার জীবনের চালচিত্র।

ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১২৬ ওয়ার্ড ও গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত।সরজমিন দেখা গেছে, পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে মৃৎশিল্প প্রস্তুতকারী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মেলায় অংশগ্রহণের জন্য তৈরি করছে ছোট ছোট পুতুল ও মাটির খেলনা। পরিবারের নারী সদস্যরা রঙের কাজে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।এক সময় মৃৎশিল্পের খ্যাতি ছিল সারাদেশে।

কিন্তু আজকাল অ্যালুমিনিয়াম, চীনা মাটি, মেলামাইন এবং বিশেষ করে সিলভারের হাঁড়ি-কড়াই প্রচুর উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে মৃৎশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে।

কথিত আছে এ মৃৎশিল্প প্রায় দুই থেকে আড়াই শত বছর ধরে চলে আসছে। জানা যায় অতীতে এমন দিন ছিল যখন গ্রামের মানুষ এই মাটির হাঁড়ি-কড়াই, সরা, বাসন, মালসা ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের সমস্ত উপকরণ মাটির ব্যবহার করত।

কিন্তু আজ বদলে যাওয়া পৃথিবীতে প্রায় সবই নতুন রূপ। নতুন সাজে আবার নতুনভাবে মানুষের কাছে ফিরে এসেছে। এখন গ্রামের মানুষের পাশাপাশি শহরের শিক্ষিত মানুষও মাটির তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করেন।

তবে তা বিচিত্ররূপে। এখন মানুষের রুচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিত্যনতুন রূপ দিয়ে মৃৎশিল্পকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।এক সময় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা, রান্নাই, চেচুড়ি গ্রামে ছিল মাটির তৈরি পণ্যসামগ্রীর সমাহার।

বিভিন্ন বাজারে ছিল মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্যান্য সামগ্রীর দোকান। কিন্তু এখন আর কুমারদের তৈরি এসব পণ্য দেখা মেলে না। ডুমুরিয়া, চুকনগর বাজারে পাতিল দোকান নামে কুমারদের একটি দোকান রয়েছে।

এখানে দৃষ্টি নন্দন মাটির সামগ্রী কলসি, হাঁড়ি-পাতিল, সরা, মটকা, দৈ-পাতিল, মুচি ঘট, মুচি বাতি, মিষ্টির পাতিল, রসের হাঁড়ি, ফুলের টব, চাড়ার টব, জলকান্দা, মাটির ব্যাংক, ঘটি, খোঁড়া, বাটি, জালের চাকা, প্রতিমা, বাসন-কোসন, ব্যবহারিক জিনিসপত্র ও খেলনা সামগ্রী ইত্যাদি পাওয়া যায়।

তারাও অস্তিত্বে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করে কোনোরকম নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে।টিপনা নতুন রাস্তা বাজারের একমাত্র মৃৎশিল্প পণ্যের দোকানের বিক্রেতা জীবন পাল জানান, প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার এই ব্যবসা করে আসছি।

টিপনা কুমাররা পেশা বদল করায় মাটির এসব পণ্যসামগ্রী বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক এবং সিলভারসামগ্রীর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় তাদের ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানান তিনি।

বাজারে প্লাস্টিকসামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভিড়ে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প। সেই সঙ্গে প্রায় হারিয়ে গেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজানো গ্রামীণ সংস্কৃতির নানা উপকরণাদি ও গৃহস্থালি নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান।

জানা গেছে, ডুমুরিয়ার মৃৎশিল্প তৈরিকারক পরিবারগুলোর সদস্যদের মাঝে চলছে অভাব-অনটন। কারণ তাদের তৈরি পণ্য এখন বাজারে না চলায় বদলে যাচ্ছে কুমারপাড়ার জীবনের চালচিত্র।খুলনার ডুমুরিয়া থানার বুড়লি গ্রামে এ পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার।

পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে মৃৎশিল্প প্রস্তুতকারী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মেলায় অংশগ্রহণের জন্য তৈরি করছে ছোট ছোট পুতুল ও মাটির খেলনা।

পরিবারের নারী সদস্যরা রঙের কাজে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।