অতনু চৌধুরী(রাজু) বাগেরহাট প্রতিনিধি||মোংলা বন্দর ও শিল্পাঞ্চলের ভিতর দিয়ে যাওয়া মোংলা-খুলনা মহাসড়কটি সংস্কারের কাজ শেষ হতে না হতে আনুমানিক প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কের বেহালদশা।
শুকনা মৌসুমে প্রচন্ড ধুলাবালি আবার বর্ষায় হাটু কাঁদা-পানি ও খানাখন্দ। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন, চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোংলা-খুলনা ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কের বন্দর এলাকা থেকে আনুমানিক প্রায় ৮ কিলোমিটারই ভাঙ্গা ও খানাখন্দে ভরা।
মোংলা বন্দর থেকে শুরু হওয়া গুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়গঞ্জ’সহ দেশের দক্ষিনাঞ্চলের সকল বিভাগ ও জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বহন করে এটি। তাই এখান থেকে দুরপাল্লার বাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে ও আসছে।
এছাড়া বন্দর ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাবসায়ীক মালামাল পরিবহন করা হয় এ সড়ক দিয়ে। প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত – শত যানবাহন মালামাল বোঝাই করে চলাচল করতে হচ্ছে পরিবহন চালকদের।
এ জাতীয় সড়কটির বন্দর এরিয়ায় প্রায় শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকায় দু’পাশে মালামাল বহনকারী লড়ি-ট্রাক’সহ যানবাহন রাখার কারণে মানুষ চলাচল করতে পারছেনা।
মোংলার বন্দর থেকে আনুমানিক প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ এলাকা ভাঁংঙ্গাচোরা আর গর্তে ভরা। কোনো কোনো স্থানে ডেবে উঁচু-নিচু হয়ে আছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে কাদা হয়ে যায়।
প্রতি বছর মোটা অংকের টাকা খরচ করে সামান্য সংস্কার করলেও তা কোন কাজে আসছে না। একদিকে মোংলা বন্দরের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শত শত ভারী যানবাহন চলাচল করছে।
এ বিষয়ে মোঃ নূর নবী শেখ নামের এক ভুক্তভোগী পথচারী বলেন, মোংলা থেকে খুলনা যেতে এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগছে। শুধু কষ্ট না, দুর্ঘটনার ভয়ে রাস্তায় নামতেই ভয় লাগে। কেউ দেখছে না এই দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে সোহেল রানা নামের এক ভুক্তভোগী ট্রাকচালক বলেন, বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে খুলনায় যেতে গেলে মনে হয় ট্রাকের চাকা ভেঙে যাবে। প্রতিদিন কোনো না কোনো গাড়ি গর্তে আটকে যায়। রাস্তার এই অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
এ বিষয়ে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস বলেন, এই রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করে। আমরা বহুবার বলেছি। তবুও কাজ শুরু হয়নি। দ্রুত সংস্কার না করলে অবস্থা ভয়াবহ হবে।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার সুমি বলেন, বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দরের হারবার ও মেরিন বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, মোংলা থেকে দিগরাজ পর্যন্ত সড়ক আমাদের আওতাধীন। অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়েছে। আমরা কাজের জন্য অর্ডার দিয়েছি। অতি দ্রুত কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, কাটাখালী থেকে দিগরাজ পর্যন্ত সড়ক আমাদের আওতায়।
কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি কমলেই সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু করবো।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।