1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
খুলনায় ১মে “মহান মে” দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মে মাসের প্রথম সপ্তাহ দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা চমক রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের শক্তিশালী দল ঘোষণা মোংলায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এমপি হাবিবুন নাহার নড়াইলে আদালতে হাজিরা দিতে এসে গাঁজাসহ যুবক গ্রেফতার লোহাগড়া পৌরসভার কার্য সহকারী কবিরের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ তাপদাহের কারণে সোমবার ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল বন্ধ মোংলার রুপালী ব্যাংকের তৃতীয় তলায় আগুন – ফায়ার সার্ভিসের অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণ প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ্য জনজীবনে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের মাঝে সাতক্ষীরা উপকূলে প্রকৃতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় সংহতি প্রচণ্ড তাপদাহে পথচারীদের মাঝে এমপি আতাউল হক দোলনের পানি ও স্যালাইন বিতরণ কেশবপুরে পাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি ঝিকরগাছায় পৌর মেয়র জামালের সহযোগিতায় তৃষ্ণার্ত মানুষের মুখে হাসি  যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ,যেভাবে চলবে ক্লাস;শঙ্কায় অভিভাবকেরা শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ হজ্ব ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ৯ মে যশোরে সুজন-এর বিভাগীয় মতবিনিময় ও পরিকল্পনা সভা তীব্র তাপদহে পুড়ছে শার্শা সহ সারাদেশ,কর্মজীবনে অচলাবস্থা

কয়রায় সন্তানদের সামনে মাকে বিবস্ত্র অবস্থায় গাছে বেঁধে নির্যাতন

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২
  • ৩২৭ বার শেয়ার হয়েছে

খুলনার খবর // খুলনার কয়রায় শামীমা নাসরিন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। তার পুরো শরীরে লাঠির আঘাতের চিহ্ন ও দুর্বৃত্তদের কামড়ের দাগ।

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশিরা তাকে ঈদের পরদিন সকালে প্রকাশ্যে এমনভাবে অমানবিক নির্যাতন চালায় বলে জানা গেছে।

নির্যাতিতা শামীমা নাসরিন জানান, তিনি কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি কুপির মোড়ের গফ্ফার গাজীর মেয়ে। বাবার বাড়ির পাশে জায়গা কিনে সেখানে বসবাস করছেন। বাবার ২ বিঘা জমির উপর স্থানীয় লিয়াকত গাজী, সাখাওয়াত গাজী, নুর আলম গাজীসহ ওই পরিবারের অনেকের চোখ পড়ে। বাবা একা হওয়ায় প্রায়ই এ দলটি তার উপর অত্যাচার করে। এক বছর আগে একই রকম হামলার ঘটনা ঘটে। তখন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানার টাকা তারা পরিশোধ করেনি।

ঈদের পরের দিন সোমবার সকালে লিয়াকত ও তার সহযোগিরা তার বাবার বাড়িতে উপস্থিত হয়। এসময় তারা ঘরের একটি চাল তৈরি করে নিয়ে আসে। বাবার বসত বাড়িতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে চায়। বাধা দেয় শামীমা সুলতানা ও তার ভাবী সালমা খাতুন। এসময় লিয়াকত এর সাথে থাকা খালেক ও আসফার গাজী শামীমাকে ঘর হতে টেনে বের করে নিয়ে আসে। এরপর রফিকুল, সালাউদ্দিন, সাইফুল, সোয়েব দড়ি দিয়ে গাছের সাথে তাকে বেঁধে ফেলে। শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। লাঠি দিয়ে পেটানোর পর তারা সারা শরীরে কামড়ে ক্ষত বিক্ষত করে। জ্ঞান হারালে শামীমা নাসরিনের এক দুলাভাই ৯৯৯ এ ফোন দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

কয়রা থানার এসআই মাসুদ দড়ি খুলে তাকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলার জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেলে তার অবস্থা অবনতির হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে।

স্বামী আবুল কালাম সানা বলেন, ঘটনার সময়ে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। মোবাইলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের সহায়তা নেন। তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর আগে একই ঘটনার জন্য সালিশ করেছেন। কিন্তু তারপরে তারা আবারও আক্রমণ করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংষর্ষ হয়েছে। ঘটনার সময় আমি এলাকার বাইরে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। বেশ কয়েকবার সালিশ করা হলেও সমাধান না হওয়ায় এখন আর কেউ বিচার করতে যায় না। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। সংবাদ পেয়ে আমি পুলিশকে অবহিত করেছিলাম। পুলিশ ভালো বলতে পারবে।

কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এ.বি.এম.এস দোহা বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।