পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর (যশোর) // যশোরের কেশবপুরে শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের উদ্যোগে বিরল প্রজাতির ক্ষুধার্ত কালোমুখো হনুমানদের কেশবপুরের বিভিন্ন এলাকায় খাবার দেওয়া হয়েছে। উপজেলার মাদারদাঙ্গা,খতিয়াখালী ও হাসপাতাল এলাকায় হনুমানদের কলা, পাউরুটি ও বাদাম খেতে দেওয়া হয়। এ তিনটি এলাকায় প্রায় শতাধিক হনুমানকে এসব খাদ্য খাওয়ানো হয়।
কেশবপুরের ১২টি এলাকায় প্রায় চার শতাধিক হনুমান বিচরণ করে থাকে। সম্প্রতি এই অঞ্চল থেকে বড় বড় গাছপালা নিধন ও শহরের চারপাশের বিলে মাছের ঘের তৈরি করায় হনুমানের খাদ্য ও অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া সরকারীভাবে কালোমুখো হনুমানকে যে খাবার দেওয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ কারণে খাবারের অভাবে এলাকা ছেড়ে এসব হনুমান দলছুট হয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এদিন খাবার দেওয়ার সময় বিরল প্রজাতির এ কালোমুখো হনুমানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এলাকার মানুষকে আহবান জানান শুভসংঘের বন্ধুরা। কেশবপুর ফরেস্টার অফিসের প্লান্টেশন মালি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিন সরকারীভাবে ৫৪ কেজি কলা, ৬ কজি রুটি ও ৮ কেজি বাদাম দেওয়া হয়। প্রতিদিন এলাকায় এলাকায় ঘুরে খুঁজে বের করে তাদের খাবার দেওয়া হয়। এলাকার নিতাই, গৌরসহ কয়েকজন বলেন, হনুমানগুলো আমাদের ঘরের টালি ভেঙ্গে দেয়, ওরা আমাদের অনেক ক্ষতি করে। ওদেরকে নির্দিষ্ট দুই-তিনটি স্পটে খাদ্য বিতরণ করার আহবান জানাই।
কালামুখো হনুমানকে খাবার দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, শুভসংঘের কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি কাব্যাচার্য, শিক্ষাবিদ, কবি, নাট্যকার ও সব্যসাচী লেখক, গোল্ড মেডেলিস্ট মুহম্মদ শফি, ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন, সদস্য কামরুজ্জামান রাজু, সোহেল পারভেজ, কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি নূরুল ইসলাম খান, সাংবাদিক পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মৃনাল কান্তি দাস, তুষার কান্তি ভেন্ডার, কেশবপুর ফরেস্টার অফিসের প্লান্টেশন মালি মোঃ হাফিজুর রহমান, বিতরণকারী আতিয়ার রহমান প্রমুখ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।