1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
মোংলায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এমপি হাবিবুন নাহার নড়াইলে আদালতে হাজিরা দিতে এসে গাঁজাসহ যুবক গ্রেফতার লোহাগড়া পৌরসভার কার্য সহকারী কবিরের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ তাপদাহের কারণে সোমবার ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল বন্ধ মোংলার রুপালী ব্যাংকের তৃতীয় তলায় আগুন – ফায়ার সার্ভিসের অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণ প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ্য জনজীবনে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের মাঝে সাতক্ষীরা উপকূলে প্রকৃতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় সংহতি প্রচণ্ড তাপদাহে পথচারীদের মাঝে এমপি আতাউল হক দোলনের পানি ও স্যালাইন বিতরণ কেশবপুরে পাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি ঝিকরগাছায় পৌর মেয়র জামালের সহযোগিতায় তৃষ্ণার্ত মানুষের মুখে হাসি  যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ,যেভাবে চলবে ক্লাস;শঙ্কায় অভিভাবকেরা শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ হজ্ব ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ৯ মে যশোরে সুজন-এর বিভাগীয় মতবিনিময় ও পরিকল্পনা সভা তীব্র তাপদহে পুড়ছে শার্শা সহ সারাদেশ,কর্মজীবনে অচলাবস্থা লোহাগড়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত শার্শায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় ও আলোচনা লোহাগড়ায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন নড়াইল-২আসনের সাবেক এমপি মকবুল হোসেন স্মরণে লোহাগড়ায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নড়াইলের নৌকার গ্রাম রামসিদ্ধি ও ডহর রামসিদ্ধি,নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০২২
  • ২২৯ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন,লোহাগড়া (নড়াইল)প্রতিনিধি//  নড়াইলের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের রামসিদ্ধি ও ডহর রামসিদ্ধি পাশাপশি দু’টি গ্রাম। এই রামসিদ্ধি ও ডহর রামসিদ্ধি গ্রামেই তৈরি হয় কাঠের নৌকা। বিক্রিও হয় ওই গ্রামেই ।গ্রাম দু’টি নৌকার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। প্রতি বুধবার বসে নৌকার হাট। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।

প্রতি হাটে গড়ে ৮০ থেকে ১০০টি নৌকা বিক্রি হয়। প্রতিটি নৌকার দাম সাড়ে চার হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা। সম্প্রতি ভোরে হাটে গিয়ে দেখা যায়, ১৩৭ নম্বর ডহর রামসিদ্ধি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে রাস্তার পাশে প্রায় শ’খানেক নৌকা রাখা আছে বিক্রির জন্য। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এসেছেন নৌকা কিনতে। এ ছাড়া রয়েছেন নৌকা ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে সস্তায় নৌকা কিনে নিয়ে আশপাশের জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বেশি দামে নৌকা বিক্রি করে থাকেন তারা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ এলাকায় এখন মোট ১৬টি পরিবার নৌকা তৈরির কাজ করে। প্রতিটি কারখানায় তিন থেকে পাঁচজন কারিগর কাজ করেন। শনি থেকে মঙ্গলবার এ পাঁচদিনে একেকটি কারখানায় সাধারণ মানের পাঁচ/ছয়টি নৌকা তৈরি হয়। এখানে তৈরি হয় টালাই, আলকাটা পানসি,পইদেল জেলে ডিঙ্গি ইত্যাদি।অনেক সময় ক্রেতা সরাসরি অর্ডার দিয়ে তাদের চাহিদা মতো নৌকা তৈরি করিয়ে নেন। সে ক্ষেত্রে নৌকার সাইজ ও কাঠের ধরনের ওপর নির্ভর করে একটি নৌকা বানাতে পাঁচ/১০ দিন সময় লেগে যায়। দাম পড়ে ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

বর্ষাকালের দুই মাস আগে থেকে শুরু করে ভাদ্র-আশ্বিন মাস পর্যন্ত চলে নৌকা তৈরির কাজ। তবে এবার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় বিলে পর্যাপ্ত পানি নেই। সে কারণে নৌকার চাহিদা অন্য বছরের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন তারা।
কথা হলো অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী রবিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, কমপক্ষে দেড়শ’ বছর আগে থেকে আমাদের পরিবার নৌকা বানিয়ে আসছে। ঠাকুরদা মৃত অভয় চরণ বিশ্বাস শিখেছিলেন তার বাবার কাছ থেকে। এরপর ঠাকুরদার কাছ থেকে শিখে বাবা মৃত রাজেন্দ্র নাথ বিশ্বাসও একই কাজ করতেন। তাদের থেকে আমিও শিখেছি নৌকা তৈরি। ছাত্রাবস্থায় এ কাজ করতাম। বর্তমানে আমার ভাই এ ব্যবসা দেখাশোনা করছেন।

নৌকা তৈরির কারখানার মালিক ডহর রামসিদ্ধি গ্রামের হরেন বিশ্বাস জানান, তিনি গত বছরও প্রতি হাটে সাত/আটটি নৌকা বিক্রি করতেন। কিন্তু এবার বিলে বেশি পানি না থাকায় চার/পাঁচটির বেশি বিক্রি করতে পারছেন না। এছাড়া কাঠের দাম বৃদ্ধি ও এ কাজে ব্যবহৃত লোহার পাতামের (নৌকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ)দাম বাড়ায় নৌকা বিক্রি করে তেমন লাভও হচ্ছে না।
যশোর জেলার অভয়নগর থানার চন্দ্রপুর গ্রামের নৌকা ব্যবসায়ী জাবেদ শেখ বলেন, আমি এখান থেকে প্রতি হাটে ছয়টি করে নৌকা কিনি। এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে আমার নৌকা প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা লাভ হয়।

কালিয়া উপজেলার ফুলদাহ গ্রামের ক্রেতা রুকু ফকির জানান, তিনি পাঁচ হাজার টাকা করে একটি টালাই ও একটি পইদেল নৌকা কিনেছেন। গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি।এসব মানের নৌকা গতবছর তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় পাওয়া যেত।
নৌকা বিক্রেতা ডহর রামসিদ্ধি গ্রামের শুশিয়ান মল্লিক জানান, তিনি পাঁচটি নৌকা এনেছিলেন হাটে। চারটি বিক্রি করেছেন। একটি বিক্রি না হওয়ায় এখানে রেখে যাবেন। পানি কম হওয়ায় ভরা মৌসুমেও এবার নৌকার চাহিদা কম।

কারিগর শ্রীকান্ত বিশ্বাস বলেন, একটি টালাই বা পইদেল নৌকা বানাতে সাত থেকে আট সিএফটি কাঠ লাগে। তিনজন মিলে কাজ করলে একটি নৌকা বানাতে একদিন সময় লাগে। একজন কারিগরের দৈনিক মজুরি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আর সহকারীর মজুরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। গত প্রায় ৩০ বছর ধরে এখানে নৌকার হাট বসলেও নেই কোনো সরকারি তদারকি বা ইজারার ব্যবস্থা। গ্রামবাসী মিলে একটা কমিটি করে দিয়েছে। সেখান থেকে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে টাকা তোলেন হরেন বিশ্বাস নামে একজন। তিনি জানান, সাধারণ ক্রেতার কাছ থেকে নৌকা প্রতি ১০০ টাকা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়। এ টাকা স্থানীয় মন্দির ও সারা বছর ধরে এখানকার ধর্মীয় কাজে ব্যয় করা হয়।

নড়াইল বিসিক-এর উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সোলায়মান হোসেন বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার করা হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।