1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
শার্শায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত নিরাপদ সড়কের দাবিতে লোহাগড়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে প্রেস ইউনিটির নাম সংশোধন মোংলায় বৃষ্টি হলেও কমেনি গরমের দাপট বাগেরহাটে গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাকচাপায় নিহত-১ সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে ভয়াবহ আগুন ডুমুরিয়ায় নিসচা’র ২০২৪-২৫ সালের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুর বাস-মিনিবাস ও ট্রাক মালিক সমিতির কমিটি গঠন কপিলমুনিতে বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ মোংলা-খুলনা মহাসড়কে ট্রাক চাপায় এক যুবক নিহত খুলনার কয়রায় ইসলামপুর শান্তি সংঘের আয়োজনে ঠান্ডা পানি বিতরণ দিঘলিয়া হাজীগ্রামে নির্মাণাধীন হলো মসজিদে -এ – কূবা কপিলমুনিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ৭০ হাজার টাকা জরিমানা  সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশাহারা হয়ে মোদির গোলামির জিঞ্জিরে দেশকে আবদ্ধ করেছে- মাওঃ আব্দুল আউয়াল  কেশবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে খেলাঘরে’র ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ মোংলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু খানজাহানআলী থানার শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক নির্বাচিত সালাহউদ্দীন ঢাকার আকাশে প্রশান্তির বৃষ্টি জনমনে স্বস্তি পাইকগাছায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে তরমুজ চাষী 

আবারও ভাঙনের মুখে লোহাগড়ার মাকড়াইল ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২১৩ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন, লোহাগড়া (নড়াইল)// তিন একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে একাডেমিক ভবন ছাড়াও তখন ছিল বিশাল খেলার মাঠ। তবে ১৯৯০ সালে মাঠসহ বিদ্যালয়টি মধুমতী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। এরপর বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেই ভবনটিও মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে।

বিদ্যালয়টির নাম মাকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামে মধুমতী নদীর তীরে এই বিদ্যালয়ের অবস্থান। নদীভাঙন বিদ্যালয়ের কাছে চলে আসায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে। ভাঙনের কারণে ওই এলাকার মাকড়াইল, কাশিপুর ও রামচন্দ্রপুর নদীতে বিলীন হচ্ছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে সর্বোচ্চ ১০০ মিটার এলাকায় দ্রুত বালুর বস্তা ফেলা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হওয়ার পর ওই গ্রামের বাসিন্দা তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বিদ্যালয়ের জন্য ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। সেই জমিতে গড়ে ওঠে বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দুটি একতলা ভবন ও একটি টিনশেড ঘর আছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ভবনটি ঘেঁষে নদীর স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। ভবনের গায়ে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। টিনশেড ঘরটির একটি কোনা নদীতে চলে গেছে। সেখানে ভাঙন ঠেকাতে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। সেসব বস্তার কয়েকটি নদীতে চলে গেছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলুর রহমান মৃধা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রচেষ্টায় ভাঙন ঠেকাতে এখানে তাৎক্ষণিকভাবে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। এটি না ফেললে বিদ্যালয় ভবন এত দিনে নদীতে চলে যেত। ভাঙন এখন বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে। সেখানে সর্বোচ্চ ১০০ মিটার এলাকায় দ্রুত বালুর বস্তা ফেলা দরকার। তাহলে বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী ভাঙনের কবল থেকে আপাতত বাঁচতে পারবে।

বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা বলেন,ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত বিদ্যালয়টি একসময় প্রাণোচ্ছল ছিল। বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ ঘিরে নানা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন হতো। নদীভাঙনের ফলে ধীরে ধীরে সবকিছু ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্য হারাচ্ছে এলাকা। আশপাশের গ্রামগুলোয় নদীভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। এখানে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে এসব জনপদ বিলীন হয়ে যাবে। লোহাগড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বর্মণ বলেন, উপজেলার মধ্যে নদীভাঙনের সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে বিদ্যালয়টি। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জানেন।

পাউবো নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, সেখানে ভাঙন ঠেকাতে তাৎক্ষণিক বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে।ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছয় মাস আগে নড়াইল জেলার ২৩টি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একনেকে পাস হওয়ার জন্য এর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে তৃতীয় পক্ষের জরিপ লাগে। ওই জরিপের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলে জরিপ হওয়ার পর মূল প্রকল্পটি অনুমোদন হবে।এরপর কাজ হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।