নগরীর গোবরচাকায় এক নারীর দ্বিখন্ডিত মরদেহ উদ্ধার
- প্রকাশিত : রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২
- ৫৭৯ বার শেয়ার হয়েছে
শরিফুল ইসলাম // খুলনা শিববাড়ি মোড় এলাকার মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পিছনে রাজু খার ভাড়াটিয়া আবু বক্কর মোল্লার ঘর থেকে আজ রবিবার (৬ নভেম্বর) দ্বি খন্ডিত বাক্সবন্দী এক মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।ধারনা করা হচ্ছে নিহতের নাম স্বপ্না খাতুন এবং সে আবু বকরের স্ত্রী।
নিহতের ভোটার সনদ থেকে জানা যায়,নিহত স্বপ্না খাতুনের বাড়ি রামপাল,বাগেরহাটের ভাগা এলাকায়।নিহতের পিতার নাম আয়ুব আলী সরদার।এবং মাতার নাম জবেদা বেগম।এবং তিনি নগরীর সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থিত প্রিন্স হসপিটালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসাবে কর্মরত ছিলেন।ঘটনার পর থেকে এই স্বপ্না খাতুনের মোবাইলটি বন্ধ আছে।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়,গতকাল রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত স্বপ্না খাতুনের ডিউটি ছিলো।কিন্তু তিনি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ডিউটি শেষ করে হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষমান একটি সিএনজিতে করে চলে যান।এসময় তাকে নেওয়ার জন্য সিএনজিতে এক যুবককে দেখা যায়।
এদিকে স্থানীরা জানা গত ৫ বছর আগে নগরীর গোবরচাকা এলাকার ১৯নং ওয়ার্ডের ১১নং বাড়িতে বাসাটি ভাড়া নেন আবু বকর।এরপর স্বপ্না খাতুনকে বিয়ে করে এখানেই বসবাস করছিলেন।তবে নিহত নারী স্বপ্না কিনা সেটা পুলিশ ও স্থানিরা কেউই সঠিক বলতে পারছেন না।স্বামী পরিচয় ভাড়া নেওয়া বাসাতে নিহত নারীর কোন ছবি পাওয়া যায়নি।এবং তার স্বামীও পলাতক।নিহতের স্বামীর নাম আবু বকর বয়স ২৫ বছর।বাড়ি বাগেরহাটের ভাগা এলাকায়।আবু বকরের পিতার নাম জাকির মোল্লা ও মাতার নাম ঝরনা বেগম।
পলাতক আবু বক্কর নিউ আল আকসা ট্রান্সপোর্টের ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন।তার কাছে ট্রান্সপোর্টের ১লক্ষ টাকা ছিলো। এঘটনার পর থেকে আবু বক্কর মোল্লাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।পলাতক আবু বকর যে ট্রান্সপোর্টে কাজ করতেন নিউ আল আকসা ট্রান্সপোর্ট সেখানকার ট্রান্সপোর্ট মালিক তার বাসায় আসলে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ঘরের ভিতরে দ্বিখণ্ডিত মাথা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ এসে তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।এবং ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
নিহতের মাথা শরীর থেকে আলাদা করা ছিলো।তার মাথা খাটের উপর আর দেহ ছিলো একটি টিনের বাক্সে।
