1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন আজ – ১লা মে যশোর জনতার হাতে ধরা খেলেন বহু বিতর্কিত আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ারুল কবীর পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিচার দাবিতে বিএনপির কেএমপি খান জাহান আলী থানা ঘেরাও  কয়রা শাকবাড়ীয়া স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন করলেন ইউএনও রুলী বিশ্বাস দিঘলিয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন জয়ন্ত কুমার কুন্ডু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির কর্মীদের রাজপথের লড়াই চলমান রাখতে হবে খুলনা টেইলজি গ্রুপের ইলেকট্রিক বাইকের শোরুম উদ্বোধন পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে, খুলনা যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা কুয়েটে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কয়রায়  ভোটের মাধ্যমে ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত কেশবপুরের সাংবাদিক এম,এ রহমান বললেন, নিজে ধান কাটা ছোট কাজ নয় ধর্ম যার যার দেশ সবার: জামায়াতের আমির যশোর নগর বিএনপির বৈশাখী ফুটবল সেমিফাইনালে এক নম্বর ওয়ার্ড যশোরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গৃহবধূ হত্যার রহস্য উদঘাটন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকার মূল সড়কে চলতে পারবে না ব্যাটারিচালিত রিকশা: ডিএনসিসি প্রশাসক নুসরাত-অপু-নিপুণ-ভাবনা-জায়েদ খান ও হচ্ছেন হত্যা মামলার আসামি দেবহাটায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে তরুণ দলের পানি, স্যালাইন ও কলম বিতরণ বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর মামলায় হ্যামকো গ্রুপের পরিচালক কারাগারে

নড়াইলে অতিথি পাখি ধরতে ব্যাবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল ফাঁদ

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ৩১৮ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন,লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি // নড়াইলের বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে প্রযুক্তির ফাঁদে ফেলে অতিথি পাখি শিকার করছে শিকারিরা। জেলার বিভিন্ন স্থানে হরহামেশায় দেখা মিলছে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল ফাঁদের।পরিবেশবিদরা বলেছেন এটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে,এ বিষয়ে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

জানা যায়,প্রতি বছরের মতো শীতের শুরুতে শীতপ্রধান দেশ থেকে এবারও দল বেঁধে অতিথি পাখিরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নড়াইলের বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে চাঁচুড়ী বিল, ইছামতি বিল, কাড়ার বিল, নলামারা বিল, তালবাড়িয়া বিল, পাচুড়িয়া বিল,গোপালপুর-বগুড়ার বিল হাজার হাজার অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে।

জলাশয়ে দেশি-বিদেশি পাখির মধ্যে রয়েছে-বালি হাঁস, কালকোচ,কায়েম,ডুঙ্কর,পানকৌড়ি, পাতাড়ি হাঁস,হাঁস ডিঙ্গি, কাদা খোঁচা, খয়রা, চেগা, কাচিচোরা,মদনটাক, শামুখখোলা ও বক।এক শ্রেণীর অসাধু শিকারিরা পাখি ধরে বিক্রি করছে। অতিথি পাখি শিকারের জন্য এবার শিকারিরা প্রযুক্তির ফাঁদসহ অভিনব কৌশল ব্যবহার করছে। যে কারণে এ অঞ্চলে অতিথি পাখির বিচরণ ক্ষেত্রগুলো ক্রমশ তাদের মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,অতীতে মাছ ও ফড়িং দিয়ে ফাঁদ পেতে,কীট-পতঙ্গের সাথে কীটনাশকের বিষটোপ দিয়ে, খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে, বড়শি ও কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করা হতো।
তবে বর্তমান প্রযুক্তির যুগে পাখি শিকারি চক্র প্রযুক্তির সহায়তায় পাখিদের বোকা বানিয়ে সহজেই তাদেরকে শিকার করেছে। তারা ওই সব পাখির ডাক আগে থেকেই ডাউনলোড করে পোর্টেবল সাউন্ড-বক্সে ঢুকিয়ে রাখে।যেখানে পাখিদের আনাগোনা বেশি সে সব বিল ও জলাশয়ের বৃহৎ এলাকা জুড়ে জালের ফাঁদ পেতে ঘিরে তার মাঝখানে ওই পোর্টেবল সাউন্ড-বক্সে পাখির ডাক বাজানো শুরু করে। আর ওই ডাক শুনে সতীর্থদের নিরাপদ অবস্থান মনে করে পাখিরা শিকারির পাতা ফাঁদের মধ্যে নামতে শুরু করে। আর ওখানে নামলেই পাখিরা ফাঁদে আটকে যায়।

এভাবে প্রতিদিন রাত ৮টার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চলে অভিনব কায়দায় পাখি নিধনের কর্মযজ্ঞ। তারা জানায়, রাতে শিকার করা এসব পাখি সূর্যের আলো দেখার আগেই বিক্রি হচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ক্রেতার কাছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পেশাদার পাখি শিকারি বলেন, বাজারে অতিথি পাখির চাহিদা খুব বেশি। ধরতে পারলে বিক্রিতে কোন সমস্যা নেই। অনেকেই অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখেন। ফলে ভোর রাতেই পাখি তাদের বাড়িতে পৌঁছে যায়।

পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস এর প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির বলেন,শিকারিদের ভয়াবহ ছোবল থেকে মুক্ত হতে পারছে না পাখিগুলো। এসব পাখি নিধনের কারণে একদিকে জীব-বৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে। পাখিরা শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে না,ভারসাম্যও রক্ষা করে।

জেলার কালিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেছেন,বিষয়টিতে তিনি এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাননি। অতিথি পাখিসহ সকল বন্যপ্রাণী দেশের সম্পদ। তাদের রক্ষা করা সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব। তিনি খোঁজ নিয়ে ও থানা পুলিশের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা ২০১২ আইনের ৩৮ (১) ধারা মোতাবেক অতিথি পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। শিকারিদের শনাক্ত করতে পারলে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।