1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০১:১৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
নানা অভিযোগে দইচকে সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের পক্ষথেকে সাময়িক বহিস্কার মোল্লাহাটে হিলফুল ফুজুল যুব সংঘের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লাল পতাকা টাঙিয়ে সতর্ক করেছে যশোরে নাশকতার মামলায় আওয়ামী লীগের তিন কর্মী আটক তারেক রহমান গণতন্ত্রের ধ্র“বতারা , তাকে দেখে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন বেগবান হয়েছে লোহাগড়ায় ডোবা থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার  দ্রুত নির্বাচন না দিলে দেশে একটা সংকট তৈরি হবে: ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক আন্দোলনের মুখে স্কুল ত্যাগে বাধ্য হলেন প্রধান শিক্ষক লোহাগড়ায় ছাত্রদল কর্মী আজম শেখ ও মহিউদ্দিন শেখকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  তাসফিয়ার সাফল্যে খুলনা খুলনার খবর (পরিবার) পক্ষ থেকে অভিনন্দন খুলনায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত দগ্ধ শরীর নিয়ে ২০ শিশুকে বাঁচিয়ে নিজেই না ফেরার দেশে সেই শিক্ষিকা মাইলষ্টোন স্কুলে ছুটির ঘন্টা; চিরদিনের জন্য বাড়ি ফিরলো নিহত শি’শু’রা মাইলস্টোনে হতাহত পরিবারের পাশে থাকার আহবান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের উত্তরার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর-এর শোক যান্ত্রিক ত্রুটিতে উত্তরায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন : আইএসপিআর পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বিনা মূল্যে বীজ চারা সার বিতরণ কেশবপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (ফাইটার জেট) বিধ্বস্ত যশোরে অনলাইন জিডি সেবা চালু: থানায় দালাল ও হয়রানির যুগের অবসান

ফুটবলে আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩৪২ বার শেয়ার হয়েছে

নিউজডেস্ক // রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চ আর তুঙ্গস্পর্শী উত্তেজনা। সব মিলিয়ে বলা যায় এক মহা কাব্যিক এক ফাইনাল। ক্ষনে ক্ষনে গড়ালো ম্যাচের রং। আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচ নির্ধারিত ৯০ মিনিট ২-২ গোলে ড্র। অতিরিক্ত সময়ে মেসি ও এমবাপের গোলে ব্যবধান ৩-৩। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই শেষ হাসি আর্জেন্টিনার (৪-৩)। ৩৬ বছর পর শিরোপা খরা ঘুচল আর্জেন্টিনার। মেসির হাতে উঠল পরম আরাধ্যের সোনালী ট্রফি।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সেরা ফাইনাল। গোটা ম্যাচ জুড়ে বার বার বদলাল খেলার রং। প্রথমার্ধে লিয়োনেল মেসি ও আঙ্খেল দি মারিয়ার গোলে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। তো নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে জোড়া গোল করলেন কিলিয়ান এমবাপে। অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন মেসি। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হল খেলার ফয়সালা।

দুই অর্ধে দেখা গেল দুই ছবি। প্রথমার্ধ যদি লিয়োনেল মেসির হয়, তা হলে দ্বিতীয়ার্ধের ৭৮ থেকে ৮৫ মিনিটের মধ্যে খেলার ছবি বদলে দিলেন কিলিয়ান এমবাপে। দু’দলের দুই সেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন মেসি। প্রথমার্ধে মেসি একটি গোল করলেন তো এমবাপে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে লড়াইয়ে রাখলেন। প্রথম ৭০ মিনিট খেলায় দাপট দেখাল আর্জেন্টিনা। কিন্তু তার পরে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশ‌ঁর দুটো পরিবর্তন খেলার রং বদলে দিল। কোম্যান ও কামাভিঙ্গা নামার পরে এমবাপে সেই খেলাটা খেললেন যেটা তিনি প্রথমার্ধে খেলতে পারেননি। ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হল ২-২। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে আবার গোল করলেন মেসি। কিন্তু তাতেও জয় আসেনি। তিন মিনিট বাকি থাকতে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত খেলা গড়া টাইব্রেকারে। সেখানে বাজিমাত করলেন মেসিরা।

খেলাটা হওয়ার কথা ছিল মেসি বনাম এমবাপের। দুই দলের দুই ১০ নম্বর জার্সিধারিদের। সেখানে প্রথমার্ধে তরুণ যুবরাজকে প্রতি পদে টেক্কা দিলেন বৃদ্ধ রাজা। বয়স হয়তো হয়েছে, কিন্তু ধার কমেনি। গতি হয়তো কিছুটা কমেছে, কিন্তু রক্ষণ চেরা পাস কমেনি। প্রথমার্ধ জুড়ে তার ঝলক দেখা গেল। নিজের শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া হয়ে খেলছিলেন মেসি। আর তাঁকে বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে খেলছিলেন আর্জেন্টিনার বাকি ১০ ফুটবলার। রক্ষণ, মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ, কোথাও ফ্রান্সকে একটু জায়গা দিলেন না আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণেও নামতে দেখা গেল মেসিকে। যথার্থ নেতার মতো খেললেন তিনি।

প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার দুরন্ত ফুটবলের পিছনে কোচ স্কালোনির মস্তিষ্কের প্রশংসা করতে হয়। তিনি জানতেন ফ্রান্সের সেরা দুই ফুটবলার এমবাপে ও গ্রিজম্যান। এমবাপে খেলেন প্রান্ত ধরে। গ্রিজম্যান খেলেন মাঝখান থেকে। অনেকটা মেসির মতো। এমবাপের দৌড় বন্ধ করার জন্য মোলিনা ও ম্যাক অ্যালিস্টারকে রেখেছিলেন স্কালোনি। পালা করে এমবাপেকে নজরে রাখলেন তাঁরা। এক বারের জন্যও ফাঁকা পেলেন না এমবাপে। প্রথমার্ধে এক বার ছাড়া আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকতে পারেননি এমবাপে। প্রথমার্ধে জোড়া গোল খাওয়ার পরে বাধ্য হয়ে দেম্বেলে ও অলিভিয়ের জিহুকে তুলে নেন ফ্রান্সের কোচ দেশঁ। এমবাপেকে প্রধান স্ট্রাইকার করে দেওয়া হয়। তাতে তাঁর কার্যকারিতা আরও কমে যায়। দেখাই যাচ্ছিল না এমবাপেকে।

প্রথমার্ধে মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনার আরও এক জনের নাম করতেই হয়। আঙ্খেল দি মারিয়া। চোটের কারণে নকআউটের কোনও ম্যাচে খেলেননি। ফাইনালের জন্য তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন কোচ লিয়োনেল স্কালোনি। কেন রেখেছিলেন, সেটা বোঝা গেল। আর্জেন্টিনার প্রায় সব আক্রমণই হল প্রান্ত ধরে। দি মারিয়া না থাকায় আগের তিন ম্যাচে যেটা দেখা যায়নি। প্রথম গোলের পিছনে দি মারিয়া। বক্সের মধ্যে তাঁকে ফাউল করেন ওসমান দেম্বেলে। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। আবার পেনাল্টি। স্পটে বল বসালেন মেসি। এক বার চোখ বন্ধ করলেন। একটু সময় নিলেন। তার পরে হুগো লরিসকে ভুল দিকে ফেলে গোল করলেন। ফাইনালে গোল করে মেসির উচ্ছ্বাস প্রকাশেও দেখা গেল নতুনত্ব। গোল লাইনের বাইরে গিয়ে শুয়ে পড়লেন তিনি। ছুটে এসে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন বাকি সতীর্থরা।

আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোল এল দি মারিয়ার পা থেকেই। প্রতি আক্রমণে নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে বাঁ পায়ের আউট সাইড দিয়ে রদ্রিগো দি পলকে পাস দেন মেসি। দি পলের পা থেকে বল পান আলভারেস। বাঁ দিক দিয়ে অরক্ষিত উঠছিলেন দি মারিয়া। আলভারেসের থেকে বল পেয়ে আগুয়ান লরিসের উপর দিয়ে গোল করতে ভুল করেননি দি মারিয়া।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলা যত গড়াল তত ম্যাচে দাপট দেখাতে শুরু করলেন এমবাপে। বয়সের ছাপ কোথায় হয়তো দেখা গেল মেসির খেলায়। বল ধরছিলেন। কিন্তু সে ভাবে আক্রমণ তৈরি করতে পারছিলেন না। অন্য দিকে এমবাপে নিজের পছন্দের জায়গায় খেলা শুরু করতেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন। বক্সের মধ্যে ওটামেন্ডি ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। গোল করেন এমবাপে। দু’মিনিট পরেই বক্সের মধ্যে থেকে ডান পায়ের দুরন্ত শটে ফ্রান্সের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপে। নির্ধারিত সময়ের শেষ ১০ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত ফ্রান্স। এমবাপের জোরালো শট একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। খেলার সংযুক্তি সময়ে আবার ফ্রান্সের গোল লক্ষ্য করে একটি শট মেরেছিলেন মেসি। নিজেকে শূন্যে ছুড়ে দিয়ে সেই বল বাঁচান লরিস।

অতিরিক্ত সময়েও আক্রমণ- প্রতি আক্রমণের খেলা চলতে থাকে। প্রথমার্ধে বেশি সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। সুযোগ নষ্ট করেন আরভারেস। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেন মেসি। লাউতারো মার্তিনেসের শট লরিস আটকে দিলেও ফিরতি বলে গোল করেন মেসি। দেখে মনে হচ্ছিল আর্জেন্টিনা জিতে যাবে। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে মন্তিয়েল বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। নিজের তিন নম্বর গোল করেন এমবাপে। শেষ দিকে ম্যাচ জেতার সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন কোলো মুয়ানি। কিন্তু তাঁর শট দারুণ বাঁচান মার্তিনেস। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।