শেখ খায়রুল ইসলাম,কপিলমুনি // সবে গ্রীষ্মের শুরু।এর মধ্যেই পাইকগাছার ২নং কপিলমুনি ও ১নং হরিঢালি ইউনিয়নের হাওলা প্রতাপকাঠি এলাকার মানুষের সুপেয় খাবার পানির হাহাকার দেখা দিয়েছে। উপজেলাজুড়ে মাছের ঘেরের পানি থইথই করলেও সুপেয় পানির সংকট সর্বত্র। এক কলসি পানি আনতে দুই থেকে চার কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে। অবস্থা দিনদিন প্রকট হচ্ছে। মিলছে না সমস্যার সমাধান।
সরজমিনে ঘুরে জানা যায়,পাইকগাছার ২নং কপিলমুনি ও ১নং হরিঢালি ইউনিয়নের হাওলা প্রতাপকাঠি এলাকায় গভীর নলকূপ বসালেও পানযোগ্য পানি পাওয়া যায় না।পুকুরের পানির উপরই তাদের ভরসা করে থাকতে হয়।বর্ষার সময় বড় বড় ট্যাংকিতে পানি সংরক্ষন করে রাখলেও তা সারা বছরের জন্য যথেষ্ট না।
দেখা যায়,পানির জন্য শতাধিক নারী-পুরুষ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।২০১৫ সালে একটি বেসরকারি সংস্থা সেরেডা’ র অর্থায়নে নির্মিত হয় এই সৌরশক্তি চালিত পানি বিশুদ্ধকরন প্লান্ট।দীর্ঘ ৩ কিঃমিঃ বিস্তৃত এই পাইপনাইনটি তে ‘গড়ে প্রতিদিন ১৫০০০ লিটার পানি সাপ্লাই দেওয়ার কথা থাকলেও এখন গড়ে প্রতিদিন ১০০ লিটার পানিও পাচ্ছে না এই এলাকার মানুষ।মুলত পুকুর থেকে পানি ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের প্ল্যান্ট এটি।এটি রহিমআফরোজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্মিত।
এটি তৈরি সময়কালে পুকুর থেকে পানি নিয়ে ফিল্টার করে পানি সরবরাহ করতো এবং সেখান থেকে হাউলিয়া প্রতাপকাঠি এলাকার ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ পানি নিয়ে আসছিলো। এখান থেকে পানি নিতে হলে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাড়িয়েও পাওয়া যাচ্ছেনা বিশুদ্ধ খাবার পানি।
এলাকাবাসির দাবি মুলত সৌর বিদ্যুৎ চালিত হওয়ায় এখন আগের মত মেইনটেনেন্স হয় না যেকারনে প্রকল্পটি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে।এই প্লান্টটিকে সোলার সিস্টেম থেকে বিদ্যুৎ ব্যাবস্থায় এ নিয়ে এলে হয়তো পানির এই দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে আশা করেন এলাকাবাসি।
Leave a Reply