নিউজ ডেস্ক // আবারও বাড়ছে বিদ্যুতের পাইকারি দাম। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেলে যে কোনদিন বিদ্যুতের নতুন দাম ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। দাম না বাড়ালে চলতি বছরে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লোকসান হবে বলে জানিয়েছে বিপিডিবি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বর্তমান দর ইউনিট প্রতি ৫.১৭ টাকা থেকে ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৮.৫৮ টাকা করার আবেদন করে। বিইআরসির টেকনিক্যাল কমিটি ভর্তুকি ছাড়া ৮.১৬ টাকা করার মতামত দেয়। অতীতে কখনও এতো বেশি পরিমাণে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়ার নজির নেই। ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি হলে তাও হবে নজির বিহীন। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫.১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি।
বিইআরসির আইন অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কর্ম’দিবসের মধ্যে আদেশ দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ১৮ মে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে হিসেবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত হাতে সময় আছে। এর মধ্যেই বিদ্যুতের নতুন দাম ঘোষণা করবে বিইআরসি।
বিপিডিবির পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বিদ্যুতে গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২.১৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.১৬ টাকায়।জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, কয়লার মুসক বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে ইউনিট প্রতি উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ৪.২৪ টাকায়। তাই পাইকারি দাম না বাড়ালে ২০২২ সালে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লোকসান হবে বলে জানিয়েছে বিপিডিবি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সম্প্রতি গ্যাসের দাম বেড়েছে। এরপর জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। সেই ধাক্কা এখনও সামাল দিতে পারছেনা জনগণ।তার উপর বিদ্যুৎ এর পাইকারি দাম বৃদ্ধি হলে সরাসরি ভোক্তাদের উপর প্রভাব পড়বে না। তবে পাইকারি দাম বাড়লেই খুচরা দাম বৃদ্ধি আবশ্যক হয়ে পড়বে। তাতে বাজার পরিস্থিতি আরও নাজুক পড়ে পড়বে।
এ প্রসঙ্গে বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেছেন, আম’রা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে এনেছি। তবে ভর্তুকিসহ সরকারের কিছু নীতি সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। দাম বৃদ্ধি না করেও কোন উপায় করা যায় কিনা তা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে দাম বৃদ্ধি হলেও সামান্য পরিমাণে বাড়বে। এ খাতে সরকার যদি আরেকটু ভর্তুকি বাড়াতে রাজি হয় তাহলে দাম নাও বাড়তে পারে।
Leave a Reply