চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি // চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সোমবার বেলা ১১টায়। শুরুর আগেই সম্মেলন মাঠে দুইপক্ষের চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকসহ ৬ জন আহত হন।
আজ সোমবার সম্মেলন শুরু হওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান, ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, রাজু আহমেদ, হিরক ও স্বপন। তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত হিরক বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মাঠেই কাজ করছিলাম আমরা। এ সময় মাফিজুর রহমান মাফির নেতৃত্বে তাবু, তাওরাত, প্লাবনরা সংঘবদ্ধভাবে আমাদের প্রতিরোধ করেন এবং আমাদের নেতা মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দারের ওপর চেয়ার ছুড়ে মারেন। আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে আমরা পাঁচজন আহত হই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুম হক তন্ময় জানান, মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও হিরকের মাথা ও তারেক হাসানের হাতের একটি আঙুল আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। সেখানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত বলে মনে হচ্ছে। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের শয্যাপাশে থাকা সোহাগ নামের একজন ছাত্রলীগ নেতা জানান, অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরলেও মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য হামলায় অভিযুক্ত চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মাফিকে বারবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাও ওসি মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সম্মেলন শুরুর আগে ছোট একটা ঘটনার কথা শুনেছি। কয়েকজন আহত হওয়ার কথাও কানে এসেছে। কিন্তু সম্মেলন নিয়ে দিনভর বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।