পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি যশোরের সাগরদাঁড়ীতে কবির ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চলছে সপ্তাহ ব্যাপী ‘মধুমেলা’। মধুমলায় হরেক রকমের দামী দামী মিষ্টি নজর কেড়েছে অতি লোভী মানুষের। দেড় কেজি ওজনের একটি মিষ্টির দাম দেড় হাজার টাকা। বালিশ আকৃতির হওয়ায় এটির নামকরণ করা হয়েছে বালিশ মিষ্টি। যশোরের কেশবপুরে মধুমেলায় দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে এ মিষ্টি।কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে মিষ্টি খাচ্ছেন। অনেকে আবার নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য।
ক্রেতাদের পীড়াপীড়িতে অনেক সময় একটু কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান,মিষ্টি বিক্রেতা তপন নন্দী। তপন নন্দী মূলতঃ একজন ভ্রাম্যমান মিষ্টি ব্যবসায়ী। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার ঝিকরা গ্রামে। তিনি ২৯ বছর ‘মধুমেলা’য় মিষ্টির দোকান দিয়ে আসছেন। প্রথম তিনি ২০ টাকায় ‘মধুমেলা’র জায়গা ভাড়া নিয়ে মিষ্টির দোকান দিয়েছেন। আর এবার তিনি মেলা কমিটি’র কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ভাড়ায় দোকান নিয়েছেন। তার দোকানের এক বড় মিষ্টির দাম হেঁকেছেন হাজার টাকা। তবে ১ হাজার টাকার মিষ্টি একজনের পক্ষে খাওয়া সম্ভব না, তবে পরিবারের জন্য অনেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন আকৃতির প্রতিটি মিষ্টির দাম ৩০, ৫০, ১০০, ২২০ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ জানুয়ারি থেকে সাগরদাঁড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী এ মধুমেলা। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা শেষ হলেও চলবে আরও কয়েক দিন। মেলার মাঠে এই মিষ্টির দোকান দিয়েছেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার বাসিন্দা পরিতোষ নন্দী। পাশাপাশি কয়েকটি মিষ্টির দোকান নিয়ে তিনি বালিশ মিষ্টি ছাড়াও নানা রকমের মিষ্টি বিক্রি করছেন। জানা গেছে, ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মচারী রয়েছে এসব দোকানে। পরিতোষ নন্দীর মিষ্টির দোকানে বড় বালিশ মিষ্টি একটি ১ হাজার ৫০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ টাকা, ছোট ২০০ টাকা ও ল্যান্সা বড় মিষ্টি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দোকানের কর্মচারী সাইদুর রহমান বলেন, ‘মেলা দেখতে আসা হাজার হাজার মানুষ এখানকার মিষ্টি দেখতে আসছেন। মানুষ কেনার চেয়ে মিষ্টির দরদাম করছেন বেশি। উপজেলার কাস্তা এলাকা থেকে মধুমেলায় আসা হাসান ও তার বন্ধুরা বলেন, মেলায় এসে প্রথমবার এ বালিশ মিষ্টি খেলাম। মিষ্টি খেতে খুবই সুস্বাদু, সাধারণ মিষ্টির মত নয়। এ জন্য নিজেরা খাওয়ার পরে পরিবারের অন্যদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি। মিষ্টির দোকান মালিক পরিতোষ নন্দী বলেন, বিভিন্ন আকৃতির বালিশ মিষ্টিসহ নানা রকমের মিষ্টি বিক্রি করছি। মেলার প্রথম দুদিন মিষ্টি খুব ভালো বিক্রি না হলেও এখন বেশ বিক্রি হচ্ছে।