চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি || চুয়াডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ দিবসকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩দিনের কর্মসূচি পালন করা হয়। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চুয়াডাঙ্গার সরকারী কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারও মানুষের ঢল নামে।এসময় নেপথ্যে বাঁজছিল অমর একুশের কালজয়ী গান,‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’।
রাত ১২টা ১ মিনিটেই ভাষা শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানান চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন ও চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ক্লাব সভাপতি সরদার আল-আমিনের সভাপতিত্বে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ক্লাব সদস্যগণ অংশ গ্রহণ করেন।
এদিকে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ উপলক্ষে ১৯ ফেব্রুয়ারী প্রধান সড়ক বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়। ২০ ফেব্রæয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজে হামদ-নাত, রচনা, শিশুদের কবিতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ও নির্ধারিত দেয়াল ও রাস্তায় আল্পনা আঁকানো হয়।
২১ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টা ১ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারী,আধাসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, সকাল সাড়ে ৬টায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রভাত ফেরী শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত এসে শেষ হয়, সকাল সাড়ে ১০টায় ডিসি সাহিত্য মঞ্চে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত, বাদ যোহর ও সুবিধাজনক সময়ে সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে সুবিধাজনক সময়ে ভ্রাম্যমান সংগীতানুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।