মোংলা প্রতিনিধি || মোংলায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় রনি হাওলাদার (২৪) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের শেখ আঃ হাই সড়কের মোংলা সুপার ক্যাফের সামনের রাস্তায় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনার সময় পরিবারের অন্য সদস্য ও স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় রনিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়েছে। পরে আহত রনির বাবা মোঃ মহিদুল ইসলাম কিশোর গ্যাংয়ের মোঃ হেল্লাল ভূইয়া, মোঃ হাফিজুল হাওলাদার ও মোঃ রাজু কাজীর নাম উল্লেখসহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত করে মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন আনুমানিক রাত্র সাড়ে ৯টায় ছেলে মোঃ রনি হাওলাদার (২৪) মোংলা শাহাদাৎ মোড়ের সামনে নিজস্ব জনতা ইলেকট্রনিক নামক দোকান বন্ধ করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পৌর শহরের শেখ আঃ হাই সড়কে পৌছালে রাজু কাজীর নেতৃত্বে কয়েকজন কিশোর দেশীয় অস্ত্রসহ রনির পথ আটকে তার শার্টের কলার ধরে জোর পূর্বক ভাবে টানা হেঁচড়া করে মোংলা সুগার ক্যাফে নামক ৩য় তলা বিল্ডিং এর ছাদের উপরে নিয়ে যায়। হেলাল ভূঁইয়া হুকুম দেয় যে, “কুত্তার বাচ্চাকে আজ জানে মেরে ফেল”। তখন অন্যরা হেলালের হুকুম পেয়ে রনির মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
ছেলে রনির মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ৩য় তলা বিল্ডিং এর ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও ছেলের জীবন নাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাকে জানালে আমার ছেলেকে রক্তাক্ত গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগে ভর্তি করি।
রনির মা বলেন, রনি ব্যবসার কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলো। রাস্তায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়। রাজু’র নেতৃত্বে এ হামলা হয়। হামলাকারীরা পকেটে থাকা নগদ ৩৫, ২১০/- (পয়ত্রিশ হাজার দুইশত দশ) টাকা ও গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মুল্য অনুঃ ৪৫০০০/- ( পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা নিয়ে গেছে। ছেলের অবস্থা সংকটাপন্ন। এখনো পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজু কাজী বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। গেনজাম হইছে পরশু। আমি ছিলাম অফিসে।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মারামারি সক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।