কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার সরকারি খাদ্য গুদাম এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক (৩৬) মারা গেছেন। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন।নিহত সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক শ্রী দুলাল চন্দ্র প্রামাণিকের ছেলে।
স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সঞ্জয়ের ছোট ভাই সম্পদ প্রামানিক ও ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহুরুল ইসলাম সঞ্জয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গুলি করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাতেই তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভেড়ামারায় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে ভেড়ামারা ডাকবাংলোর সামনে জড়ো হয়। তারা লাঠি-সোঁঠা নিয়ে দৌলতপুর-ভেড়ামারার প্রধান সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এ সময় আসামিদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বাধা দিলে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮ কর্মী ও রিয়াজুল নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
নিহতের ছোট ভাই সম্পদ কুমার প্রামাণিক বলেন, গত বুধবার স্থানীয় একটি মন্দিরের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান শোভনের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শোভনসহ তার কয়েকজন সহযোগী সরকারি খাদ্য গুদামের সামনে আমার ভাইকে গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর আমার ভাইকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালের দিকে আমার ভাই মারা যান।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।