রায়হান শরীফ সাব্বির,স্টাফ রিপোর্টার || কদিন ধরেই সাজ সাজ রব। জাতীয় কবির স্মরণ বলে কথা।ঝা চকচকে করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ধুয়ে মুছে দেয়া হয়েছে। গত ২৭ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ৪৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপনের আয়োজন করে “কবি কাজী নজরুল ইসলাম জাতীয় কবি বাস্তবায়ন পরিষদ।” এবারে সুলেখক সুসংগঠক বাংলাভাষা গবেষক ডা আ ম মুক্তাদীর ও বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সভাপতি সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ্দিনের আন্তরিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন কবি তীর্থ চুরুলিয়ার আজীবন সদস্য বিশিষ্ট অণুগল্পকার ভ্রামণিক মতিয়ার রহমান ও বিশিষ্ট কবি তারক নাথ দত্ত।
সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই বলা ভালো নজরুল ইসলামের কবরের পাশে কবির অনুরাগীর দল এসে ভীড় জমান। প্রচুর পরিযায়ী নজরুল প্রেমীর উজ্জ্বল উপস্থিতিতে এই চত্বর গম গম করে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে কবির কবরে,মাল্যদান ও পুষ্প স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মতিয়ার রহমান ও তারক নাথ দত্ত।
একদিকে যখন পুস্প স্তবক দেয়া চলছে, অন্যদিকে তখন খোলা মঞ্চে নজরুল বিষয়ক গজল গান কবিতা পাঠ দর্শক সাধারণের হৃদয় মন জয় করে নেয়। ভারতের পক্ষে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মতিয়ার রহমান বলেন,আমাদের অহংকার প্রিয় সাম্যবাদী কবি ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামক। দুই বাংলার আবাল বৃদ্ধ বণিতার কাছে তাঁর সৃষ্টি, তাঁর জীবন নিয়ে বেশি বেশি চর্চা করতে হবে। শতবর্ষ পেরিয়ে তাঁর বিদ্রোহী কবিতাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।আজকের দিনে এই অঙ্গীকার নিতে হবে। আলোচনা সভায় বক্তাগণ কাজী নজরুল ইসলামকে “জাতীয় কবি” ঘোষণাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করার দাবি জানান।