পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || গত ২৩ সেপ্টেম্বর খুলনার খবরে কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নে কার্তিকের খেঁয়া নামক স্থানে বাঁশের চার’টি ভেঙ্গে ৭ গ্রামের মানুষের পারাপারের দুর্ভোগের একটি প্রতিবেদন প্রচারের পর মঙ্গলকোট ইউনিয়নে কার্তিকের খেঁয়া নামক স্থানে বাঁশের চারটি ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে অবশেষে মেরামত হলো।
বিষয়টি খুলনার খবর অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি গোচর হয়। তিনি বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাসকে অবহিত করেন।এবং ইউপি চেয়ারম্যান উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন গোলদারকে চারটি দ্রুত সংস্কারের কথা বলেন।
ইউপি চেয়ারম্যানের অর্থায়নে এবং ইউপি সদস্যের আন্তরিকতায় ভেঙ্গে যাওয়া চার’টি গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সংস্করণ করে মানুষের ভোগান্তি আপাততঃ দূর করেন।
এ কাজে বসুন্তিয়া ও পাঁচারই গ্রামের স্বহৃদয় ব্যক্তিরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে চারটি মেরামতের জন্য বাঁশ দান করে সহযোগিতা করেছেন।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া-পাঁচারই গ্রামের বুক চিরে বয়ে চলেছে বুড়ি ভদ্রা নদী। এই নদীর ওপর কার্তিকের খেঁয়া নামক স্থানে বাঁশ দিয়ে নির্মিত একটি চার দেওয়া আছে যা ইতিমধ্যে একপাশ ভেঙ্গে পড়েছিল। ওই চার দিয়ে সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ও দু’টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসছিল। কিন্তু তিন/চার মাস আগে থেকে চারটির ভাঙ্গন শুরু হয়ে প্রায় এক মাস আগে এটির উত্তর পাড়ের কিছু অংশ একেবারে ভেঙে পড়েছিল। এতে ওই চার দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা-সহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় চারটি তখন সাত গ্রামের মানুষের দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসি এ স্থানে স্থায়ীভাবে চলাচল করার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট একটি ব্রীজের জোর দাবি জানিয়েছেন।