খুলনার খবর ডেস্ক || মামলা মোকদ্দমা দায়েরসহ প্রতি নিয়ত উচ্ছেদের হুমকি অব্যাহত রেখেছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু আকবর আলী।খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামের ৮ অসহায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবার গত ২৬শে এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে মুজিব শতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে চোখে দেখছিলেন এক নতুন স্বপ্ন।
ভূমিহীন পরিবার গুলো খুশিতে আত্মহারা হয়েগিয়েছিল।
তাদের এই খুশি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।তাদের উপর নেমে আসে মামলা মোকাদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়,স্হানীয় ভূমি দস্যু আলি আকবর নাকি এই সম্পত্তির আসল মালিক।সেই মতে গত ২০শে মার্চ~ ২০২৩ তারিখে ৮টি অসহায় ভূমিহীন পরিবার(১) ফিরোজা বেগম,স্বামী মৃতঃ ইনছান মিনা (২) পিয়ারা বেগম,পিতাঃ দ্বীন ইসলাম শেখ (৩) হাসিনা বেগম,স্বামী মৃতঃ আঃ ছাত্তার (৪) নাজমিন বিবি,স্বামীঃ ইউনুস জমাদ্দার (৫) মর্জিনা বেগম,পিতা মৃতঃ মমিন উদ্দিন মল্লিক (৬) শামেলা বেগম, স্বামীঃ টিটু মিয়া (৭) শিরিনা বেগম,স্বামীঃ নাসির (৮)সুমন শেখ,পিতাঃ মজিবর শেখ।সর্ব সাং শিয়ালী রুপসা খুলনা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক খুলনা তাদের সবার নামে কোর্টে মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং দেওয়ানী ৪১/২০২২ রূপসা সহকারী জজ আদালত।যেখানে অসহায় ৮টি পরিবারের দুবেলা দুমুঠো ভাতই জোটে না।সেখানে অশিক্ষিত এবং অস্বচ্ছল পরিবার গুলোর পক্ষে মামলা মোকাবেলা করা আকাশ কুসুম কল্পনা মাত্র।
ভুক্তভোগী কয়েক জন নারী নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,”সাংবাদিক ছার আমরা মেলা বিপদে আছি।
আকবার আলি মেলা খারাপ মানুষ। বিনা দোষে আামাগে নামে মামলা দিছে।আমরা গরীব মানুষ মামলার নাম শুনলি ডর লাগে।এতো টাহা আমরা কোন জাগা পাবো ছার?ঘর পায়ার পরেত্তে আকবর আলি খালি হুমকি দেয়।এই জাগা আমাগে থাকতি দেবেনা।আমাগে নাকি তাড়ায় ছাড়বে,জেলের ভাত খাওয়ায় ছাড়বে।”
এদিকে এ সকল অসহায় ভূমিহীন পরিবারদের উপর মামলা কেন দিয়েছেন আলী আকবরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সে বলেন সরকারের সাথে তো পারবো না তাই কান টানলে মাথা আসে এ জন্য তাদের নামে ও মামলা দিয়েছি।
তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়,প্রভাবশালী আলী আকুব্বর ভূমিহীন পরিবারকে শান্তি মত বসবাস করতে দিচ্ছে না।
তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদেরকে উচ্ছেদ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
অসহায় পরিবার গত ২৪ মে~২০২৩ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারি ভূমি কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া সত্বেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।এ অবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবার গুলো চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তাদের জোর দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ায়।