পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর ||“পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে আরো উল্লাস বাড়িয়াছে যেন মায়ের বকুনি খেয়ে”-কবি সুফিয়া কামাল ‘পল্লী মায়ের কোল’ কবিতায় গ্রাম বাংলার পৌষ পার্বণে শীতের পিঠা খাওয়ার শাশ্বত রূপ অঙ্কন করেছেন এভাবেই। এ-কথাকে স্মরণ রেখে কেশবপুর “রক্তকরবী উন্মুক্ত মঞ্চে উদীচী’র পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির মেলবন্ধন সুদৃঢ় রাখতে প্রতিবারের মত এবারও শীতের অনুষঙ্গে পিঠার পসরা সাজিয়েছে উদীচী, কেশবপুর শাখা সংসদ।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় উদীচী, কেশবপুর শাখা সংসদের আয়োজনে কেশবপুর উদীচী’র সভাপতি অনুপম মোদক-এর সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি মাসুদা আক্তার বিউটি ও উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর কার্য্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্রনব মণ্ডল মানব-এর সঞ্চালনায় পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তানভীর হোসেন,উদীচী উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির যশোর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী,যশোর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হাসান সাদেক, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক চম্পা,উদীচীর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক দিলীপ মোদক,উদীচী যশোর জেলা সংসদের সহ-সভাপতি আব্দুল আফফান ভিক্টর,পাঠাগার সম্পাদক চন্দন সিদ্দীকী,নাটক বিভাগের সম্পাদক রিয়াদুর রহমান,খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ বড়ভাই, ওয়ার্ড’র নির্বাহী পরিচালক ও খেলাঘর জাতীয় পরিষদের সদস্য সৈয়দ আকমল আলী, খেলাঘর কেশবপুরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস,এম রবিউল আলম প্রমূখ।
প্রথম পর্বে উদীচী’র সাধারণ সম্পাদক নিমাই চাঁদ নন্দন-এর পরিচালনায় সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।এ পর্বে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী গৌরব অধিকারী, মাসুদা বেগম বিউটি, প্রাণেজ সরদার জয়,শুভ অধিকারী,শান্তা,অদিতি ধর,জয়া দাস, রাণী সাহা,মহাকাব্য চক্রবর্তী,মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু,রাসেলসহ আরও শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে।
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে,৫ জন পিঠা মা পিঠা নিয়ে হাজির হন। শ্যামলী অধিকারী-পাকান পিঠা, দুর্গা দাস-নকশী পিঠা, ডিম পিঠা ও পাটিসাপটা,নিপা রাণী সাহা-চুষি, শারমিন আক্তার-পুলি পিঠা ও রীতা দত্ত নিয়ে আসেন–চিতে পিঠা। অতিথিরা ৫ জন পিঠা মাকে বরণ করে নেন। যাকযমকপূর্ণ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার জন্য কেশবপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পিঠা উৎসবে এসেছিলেন।