এস.এম.শামীম, দিঘলিয়া খুলনা || খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার নদীগুলিতে ইদানিং কুমির দেখা যাচ্ছে। কয়েকদিন ধরে আতাই নদীর হাজীগ্রাম বেলেঘাট, কোলা, আড়ুয়া আবালগাতী এলাকায় বেশ কয়েকটি কুমির দেখা গেছে। কখনও চুপচাপ আবার কখনও মাঝ নদীতে সাঁতার কাটতে দেখা যাচ্ছে বড় মাপের এ কুমিরগুলোকে। এলাকাবাসী ধারণা করছে সুন্দরবন এলাকার নদী ছেড়ে উজানে আসতে শুরু করেছে কুমির। নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার লোকজনকে সচেতন ও সাবধান করতে মাইকিং করা হচ্ছে। পত্যক্ষদর্শী ও হাজীগ্রাম নিবাসী সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোঃ আকবর হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, অনেকগুলো কুমির নদী বেয়ে আতাই নদীতে এসেছে। এলাকাবাসী আতাই নদীতে অনেকগুলো কুমির দেখেছে। দিঘলিয়া স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন আলোর মিছিলের রেসকিউ সদস্য মোঃ হাসিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি আতাই নদীতে একাধিক কুমিরকে সাঁতার কাটতে দেখেছেন ও নিজ ক্যামেরায় ছবিও তুলেছেন। তিনি তার ফেসবুক আইডিতে সদ্য তোলা কুমিরের এসব ছবি পোস্ট করেছেন। আতাই নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলির অনেক লোকই বিকালে কুমির ভাসতে দেখেছেন। মাইকিং করে এলাকাাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে আতাই নদীর পাশাপাশি ভৈরব নদীতেও কুমিরের অস্তিত্ব মিলেছে। সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকার নদীগুলোতে কুমিরের বসবাস। বর্তমানে দিঘলিয়া উপজেলার নদীগুলোতে কুমির ছড়িয়ে পড়েছে। সুন্দরবন এলাকার প্রবল জোয়ারের লোনা পানির তোড়ে এ কুমিরগুলো স্রোতের অনুকূলে চলে আসতে পারে। এ উপজেলার আতাই নদীতে কুমিরের ঘোরাফেরা দেখে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন সুন্দরবন এলাকার নদীর কুমির অজ্ঞাত কারণে খুলনার রূপসা, আতাই, মজুদখালী, ভৈরব হয়ে নড়াইলের মধুমতি ও নবগঙ্গা নদীতে কুমির ছড়িয়ে পড়তে পারে। কুমিরের অস্তিত্ব ও নদীতে সাঁতার কাটতে দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কুমিরের মাঝ নদীতে সাঁতার কাটতে দেখে ছবি ভাইরাল করেছেন।বর্তমানে ভৈরব নদীতেও অনেক কুমির দেখেছে মানুষ। এ কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলতলা, সিকিরহাট, নতুনহাট, আফিল গেট, ভাটপাড়া, অভয়নগর, তালতলা, নওয়াপাড়া, ভাঙাগেট, ঘোপেরঘাট, নগরঘাট, শেখহাটি বাজার, আফরাঘাট এ সকল এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকতে এবং নদীতে নামা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে এবং দিনে-রাতে নদীকূলের মানুষকে সাবধানে মাছ ধরা, নদীতে গোছল করা বা রাতে নদীতে অন্ধকারে না চলার অনুরোধ করা হয়েছে।