খুলনার খবর ||খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানের মোটরসাইকেল বহর থকে রূপসা সেতুর টোল প্লাজা ভাঙচুর ও পরবর্তী ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে আমীর এজাজ বলেছেন, ‘তৃতীয় কোনো পক্ষ এটিকে অতিরঞ্জিত করেছে। রূপসা সেতু ও টোল প্লাজা একটি জাতীয় সম্পদ।
এটি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার, সে জন্যই ৯ জুনের সৃষ্ট ঘটনার পর বিষয়টির সন্তোষজনক সমাধান হয়েছে। আমরা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে সেটি সংস্কার করে দিয়েছি। তার পরেও যে ব্যক্তি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বুধবার (১১ জুন) বিকেলে খুলনা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আমীর এজাজ খান বলেন, ‘আমার দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি।
সেদিন আমার ভালোবাসায় মানুষের ঢল নেমেছিল। যেটি সেদিন সামাল দেওয়া যায়নি। সুতরাং খুলনা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল এমন অপপ্রচার চালিয়েছে। এর মাধ্যমে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, গত ৯ জুন বটিয়াঘাটার আমিরপুর ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামের তার বাড়ি থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি রূপসা সেতু পার হয়ে বটিয়াঘাটা সদরে যাচ্ছিলেন।
এ সময় টোল প্লাজার বার পড়ে মোহাম্মদ ফরাজী নামের আমিরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আহত হন। তার নাক দিয়ে অঝোরে রক্ত বের হওয়ায় সোহেল পারভেজ নামের এক যুদবল নেতা টোল প্লাজা ভাঙচুর করেন।
এটি ঠিক হয়নি,বিষয়টি রূপসা সেতুর টোল আদায়ের সঙ্গে নিয়োজিত কর্মীরা তাকে জানানোর পর সঙ্গে সঙ্গেই সেটি ঠিক করে দেওয়া হয়। আহত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ফরাজী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর যারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান তাদের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে জেলা বিএনপির এই সাবেক আহ্বায়ক বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে যাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তারা আমাকে নির্বাচনী কাজ করার জন্য বলেছেন। সেই আলোকেই আমি নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি।’
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।