মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন, যশোর প্রতিনিধি ||যশোর ঝিকরগাছায় ঈদের দিন নিখোঁজ ও পরের দিন পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মুলত ওই শিশু আত্মহত্যা কিংবা পুকুরে ডুবে মারা যায়নি।
তাকে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছে। আর এ ঘটনার নেপথ্যের নায়ক ওই শিশুর আপন ফুফাতো ভাই। নাসমুস সাকিব ওরফে নয়ন। পুলিশ তাকে আটক করেছে। নিহত শিশু সোহানা আক্তার ঝিকরগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে এবং বায়সা-চাঁদপুর মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
অন্যদিকে ঘাতক নয়ন হাড়িয়া গ্রামের ইলিয়াস রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন সোহানা তার ফুফুর বাড়িতে যায়।
সেখানে তার বোন তন্নীর সাথে গল্প করছিলো। বাড়িতে অন্য কেউ ছিলনা। এমন সময় তন্নীর শরীর খারাপ লাগলে ঘরে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।অন্যদিকে বারান্দায় দোলনায় দোল খাচ্ছিলো সোহানা। এসময় বাড়িতে আসে নয়ন। এসে দেখে তন্নী ঘুমাচ্ছে। এসুযোগে নয়ন সোহানাকে জোরকরে নিজ ঘরে নিয়ে যায় এবং মুখে রুমাল দিয়ে চেপে ধরে ধর্ষন করে। শেষমেষ শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।
পরে নয়ন সোহানা হারিয়ে গেছে বলে নাটক সাজায়। পরের দিন পুকুর থেকে সোহানার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় যশোর ঝিকরগাছা থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন সোহানার বাবা আব্দুল জলিল। মামলাটির তদন্তে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনে ।
এক পর্যায় সে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।