খুলনার খবর ||নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কুলশুর গ্রামে মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরদার ও শেখ বংশের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়া চলে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা সহ পাঁচজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর কুলশুর গ্রামের জামে মসজিদে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সরদার বংশের মুজিবুর রহমান সরদার মসজিদের ভেতরেই দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এতে হারুনার রশিদ নামের এক ব্যক্তি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে দ্রুত কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে কালিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি, ২ রাউন্ড খালি খোকা, ৩টি টেটা, একটি হকিস্টিক, ৩টি রামদা, ২টি কুড়াল ও ১টি ছুরি উদ্ধার করে।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন কালিয়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান সরদার (পিতা: আলতাফ হোসেন সরদার), নান্নু সরদার (পিতা: আকবার হোসেন সরদার), শুভ সরদার (পিতা: মুজিবুর রহমান সরদার), সিজান সরদার (পিতা: হাবিবুর রহমান সরদার) এবং সাইমন সরদার (পিতা: আনোয়ার হোসেন সরদার)। তারা সবাই কালিয়া পৌর এলাকার কুলশুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার আসরের নামাজের পর মসজিদের ইমাম মুফতি রমজান আলীকে মারধর করেন রশিদ সরদার নামের এক ব্যক্তি। ওই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা চলছিল।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ঘটনার পরপরই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। অস্ত্র ও গুলিসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে। এবং যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী এলাকায় টহল জোরদার করেছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।