শরিফুল ইসলাম // গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ খুলনার জনজীবন। অতিরিক্ত গরমে একটু প্রাশান্তির আশায় মানুষকে বিভিন্ন বড় বড় বিল্ডিংয়ে ছায়ায় কিংবা গাছের ছায়ায় মসজিদে বসে বা শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশু, বৃদ্ধ সকলেই পুকুর কিংবা খালের পানিতে দিনের বেশিরভাগ সময় পার করছে। বৃষ্টির জন্য খুলনার মানুষ হাহাকার করছে।ঈদ সমাগত সত্তেও দিনের বেশিরভাগ সময় রাস্তা থাকছে পুরো ফাঁকা।
গতকাল রোববার খুলনায় এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এবং আজ বিভিন্ন ইন্টানেট অ্যাপসে দেখা যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।গরমের কারনে পানির ভূ গর্ভস্থ স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় খুলনার বেশিরভাগ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। কোথাও স্বস্তির বাতাস নেই। সর্বত্র গরম আর গরম।
প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। ভর দুপুরে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ছে। অসহনীয় রোদ, আর গরমে স্থবিরতা নেমে এসেছে স্বাভাবিক কর্মজীবনেও।রোজাদারেরাও রয়েছেন কষ্টে।
এদিকে, গরম বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গিয়েছে। বয়স্কদের হিটষ্ট্রোকের আশংকাও বাড়ছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জানা যায়, খুলনায় গতকাল এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্র আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।খুলনার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
Leave a Reply