1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
শরণখোলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় শার্শায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্লাস চলমান থাকবে শ‌নিবা‌রেও লোহাগড়ায় খুনের ঘটনার ৫ মাস পরেও থামছে না বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট দিঘলিয়ায় মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা বটিয়াঘাটা উপজেলা বাদাবন সংঘের অবহিত করন কর্মসূচি সভা অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে বৃষ্টিপ্রার্থনায় মুসল্লিদের ইসতিসকার নামাজ আদায় কেশবপুরে ট্রাকের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, হেলপার নিহত, চালক গ্রেফতার ফের খুলনা অঞ্চলে তাপমাত্রা ছাড়ালো ৪২ ডিগ্রি কেশবপুরে স্কাউটিং বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কোর্স অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা শার্শায় স্মার্টফোনে ব‍্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ,সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় ভ্যানচালক ও তাঁর মায়ের মৃত্যু নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি  ২৭ এপ্রিল যশোরে বিভাগীয় সভা সফল করতে খুলনায় সুজনের সভা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তারিকুল ইসলাম উজ্জলের গণসংযোগ কেশবপুরে দুই মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার-৩ পথচারীদের খাবার স্যালাইন ও পানি দিলেন মেয়র শেখ আ: রহমান বাগেরহাটে গভীর রাতে লাগা আগুনে ৬টি দোকান পুড়ে ছাই

নড়াইলে‘কৃষকের অ্যাপস’বোঝেন না চাষীরা,সুফল আসছেনা ধান সংগ্রহে

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২
  • ৩৪০ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন,লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি // গত ৩ বছর ধরে কৃষকের অ্যাপস’র মাধ্যমে বোরো মৌসুমে সরকার ধান সংগ্রহ চলছে। কিন্তু স্থানীয় চাষিরা এ অ্যাপস বোঝেন না।

ধান সংগ্রহের কোনো তথ্যই নাকি প্রান্তিক চাষিদের কাছে পৌঁছায় না। এতে কৃষকের ধান ব্যাপারীর মাধ্যমে যাচ্ছে সরকারি গুদামে। যে কারণে সরাসরি ধান সংগ্রহের কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না প্রান্তিক কৃষকরা। সরকারিভাবে কৃষকের অ্যাপস’র মাধ্যমে লটারি করে নড়াইলে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয় গত ১২ মে। জেলা প্রশাসক, খাদ্য কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচনের কথা বলা হয়। কিন্তু স্থানীয় কৃষকরা এ অ্যাপস বোঝেন না। এমনকি কখন আবেদন করতে হবে, তাও জানেন না। জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধান সংগ্রহের তথ্য না থাকায় কৃষকের আবাদ ব্যাপারীর মাধ্যমে গুদামে চলে যাচ্ছে।

নড়াইল সদরের ধোন্দা, কাগজীপাড়া কৃষি ক্লাব, লোহাগড়ার আমাদা এলাকা ঘুরেও চাষিদের কাছ থেকে কৃষকের অ্যাপস সম্পর্কে ভালো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কৃষকদের অ্যাপস না বোঝার সুযোগে তাদের নামে ব্যাপারীরা আগের কায়দায় ধান বিক্রি করছেন সরকারি গুদামের কাছে। যে কারণেই সরাসরি ধান সংগ্রহের সুবিধা পাচ্ছে না প্রান্তিক কৃষক। নড়াইল সদরের ধোন্দা কৃষি ক্লাবের সদস্য ইয়াকুব আলী, কৃষক আলী আহমেদ, আকবর শেখ জানেন না কবে এবং কীভাবে সরকারি গুদামে ধান দিতে হবে। সেলিম জাহাঙ্গীর নামে এক কৃষক  জানান, তার কাছে ১০০ মন ধান আছে। ধান দেওয়ার খবর পেলে দিতে পারতেন। কৃষক সাইফুল মোল্যা  বলেন, একজনের কাছে ২০ টাকা দিছিলাম নাম উঠানোর জন্য। সে বললো আমারটা হয় নাই। হের লেইগা হাটে ধান বেইচে দিসি। আমাদা গ্রামের আবুল হোসেন জানান, আমাগে একটা কার্ড দেবে বা বলবে কোন কায়দায় ধান দিতি হবে তাহলে তো আমরা দিতি পারবো? যারা আগে সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করেছেন তাদের অভিজ্ঞতা আরও ভয়াবহ। প্রান্তিক কৃষকদের অভিযোগ খাদ্য-গুদামে নানা জটিলতার পরেও টাকা দিয়ে ধান বিক্রি করতে হয়।

সদর উপজেলার মুলিয়া কোড়গ্রামের কৃষক বনমালী বিশ্বাস জানান, গোডাউনে ধান দিতে গেলে তার অর্ধেক বাদ দেয় তারা। তিনি একবছর ৪২ কেজিতে মন হিসেব করে ধান দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ক্ষতি হয়। সরকারি গুদামে ধান দিতে হলে টাকা দিতে হবে কেন, প্রশ্ন করেন তিনি। কাগজীপাড়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমানের অভিযোগ করে বলেন, ধান দিতি গেলি গুদামে লেবারের পয়সা দিতে হয়। তাছাড়া দুটো ফ্যানে ঝাড় দিয়ে অর্ধেক ধান ফেলে দেয়। নানা ফন্দি ফিকির করে। একবার ধান দিছিলাম আর দিতি যাই না।

জেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে,চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৬ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। এজন্য লটারির মাধ্যমে ২ হাজার ২৬৫ জন কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল শুরু হয়ে সংগ্রহ চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। বুধবার (১৫ জুন) পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫০৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় এ তিন ধরনের কৃষক নির্বাচিত করার কথা থাকলেও এবছর জনপ্রতি ৩ টন হিসেবে বড় কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক ধান সংগ্রহ থেকে বিরত রয়েছেন।

নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.রোকনুজ্জামান কৃষকের অ্যাপস’র প্রচারণায় দুর্বলতা স্বীকার করেন। তিনি  বলেন, ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এ কাজে কৃষককে সহায়তা করছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অনির্বাণ ভদ্র ধান সংগ্রহ বিষয়ে বলেন, খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহের যে প্যারামিটার রয়েছে সে অনুযায়ী ধান সংগ্রহ হয়। প্রচার প্রচারণা যেভাবে হয়েছে তাতে কৃষকের ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশাকরি লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে পূরণ হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।