পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // ফাস্টফুডের ব্যবসা শুরু করে কেশবপুরের মানুষের মনে জায়গা করে নেয়া সদালাপী তৌহিদুজ্জামান টিটো সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা নিউ লাইফ হাসপাতালের ডাক্তার নিউরোসাইন্স বিশেষজ্ঞ গাউসুল আযম-এর তত্বাবধানে রয়েছেন। তার দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজারো মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার সুস্থতা কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।
জানা গেছে,কেশবপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্র শহীদ দৌলত বিশ্বাস চত্বরে ক্যাফে ডে লাইট ফাস্টফুডের প্রোপাইটর তৌহিদুজ্জামান টিটো যশোর থেকে কেশবপুরে আসার পথে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে মধ্যকুল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার মারাত্মকভাবে আহত হন। খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয়। নাক, মুখ ও কান দিয়ে রক্ত বের হওয়া এবং মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। দীর্ঘ সময় পার হলেও তার জ্ঞান না ফেরায় আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ঢাকা নিউ লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যকুল গুটলেতলার পাশে জাহাঙ্গীরের ঘেরে সম্প্রতি পাথর বোঝাই একটি ট্রাক উল্টে পড়ে। ট্রাক উঠানোর পর পাথর তুলে যশোর-কেশবপুর সড়কের পাশে রাখা হয়, যা পরবর্তীতে রাস্তা অর্ধেক জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তৌহিদুজ্জামান টিটো নিজ মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে উল্লেখিত স্থানে এসে অসাবধানতাবসত পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের পরামর্শে খুলনা, সেখান থেকে ঢাকাতে নিয়ে যান।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ব্যাপক আঘাত পাওয়ায় তার মাথার পিছনের দিকে ভেঙে গেছে। মাথার মধ্যে রক্ত জমাট না থাকায় কিছুটা সংকামুক্ত থাকলেও এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। সে উপজেলার সুজাপুর গ্রামের মোশাররফ সানার ছেলে।
স্থানীয় হুমায়ন কবির সুমন বলেন, তৌহিদুজ্জামান টিটো খুবই ভালো ছেলে। তিনি সবার সাথে হাসি খুশি ভাবে কথা বলেন। তার এতবড় দুর্ঘটনার খবরে আমরা অত্যন্ত ব্যাথিত। কেশবপুরের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ তাকে ভালোবাসে তার প্রমাণ হাজারো মানুষ তার সুস্থতা কামনা করে নিজেদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়েছেন। শতাধিক মানুষ খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজেও দেখতে গিয়েছেন। তার দ্রুত সুস্থতা কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া কামনা করেছেন।
Leave a Reply