মোঃ ইমরান হোসেন,বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি // সরকারি রাস্তা নির্মানে চলছে অনিয়ম দূর্নীতি ও হরিলুট।আর এই হরিলুটের অন্তরালে রয়েছে এক ইউপি সদস্য।সূত্রে প্রকাশ,স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ও বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিলের আওতায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা ইটের সলিং এর উন্নয়ন মুলক কাজ শুরু হয়েছে।সিডিউল মোতাবেক ইট না দিয়ে, নিম্ন মানের ইট দিয়ে ঠিকাদার মোঃ এহিউল ইসলাম রাস্তায় সোলিং এর কাজ করছেন।
উক্ত কাজে সরকারি সিডিউল মোতাবেক খরচ ধরা হয়েছে প্রাক্কলিত মূল্য ১৯ লক্ষ টাকা।কাজের চুক্তিমূল্য ১৮ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। কাজটি শুরু করার কথা ছিলো ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে। কাজটি শেষ করার কথা ৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ এর মধ্যে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঠিকাদার কাজটি যথা সময় করেন না। অভিযোগ রয়েছে,বটিয়াঘাটা উপজেলা সাবেক প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর অনিয়ম দূর্নীতির কারনে কাজটি অনেক দেরিতে করতে হয়েছে ঠিকাদারকে।স্থানীয় এলাকাবাসী অভিলম্বে কাজটি বন্ধ ও তদন্ত পৃর্বক দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার এবং কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান। এলাকার দিলীপ সরদার,অমল গোলদার,বিপন্ন সরকার,নুরুজ্জামান সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন,কাজের কথা কি বলবো বলেন, কাজে যে অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে কে দেখবে।
প্রভাবশালী লোকের কাজ,আমরা সাধারন মানুষ আমাদের কথা কেউ শোনে না।এত নিম্ন মানের ইট দিয়ে যে কাজ করতে পারে আমাদের জানা ছিলো না। ঠিকাদার এহিউল ইসলাম বলেন,কাজটি আমার। কিন্তু কাজটি আমার নিকট থেকে নিয়েছেন সুরখালী ইউপি মেম্বর রত্না অধিকারী। আমি কখনো কাজের সাইটে যাইনি। তবে ইউপি সদস্য রত্নাকে বলেছি কাজটি যেন অনিয়ম না হয়। আমি কাজের অনিয়ম দূর্নীতির কথা শুনেছি। বিষয়টি রত্নার সাথে আমি কথা বলছি। ইউপি সদস্য রত্না অধিকারী বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি সঠিক না। আমি উক্ত কাজের সাথে জড়িত না। সুরখালী পরিষদের ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার বলেন,উক্ত কাজের ভিতর থেকে আমি আমার এলাকায় প্রায় ৮৫০ মিটার রাস্তার কাজ করেছি। এখনও টাকা পাইনি। আমার সাইটে কোন অনিয়ম হয়নি। ভালো মানের ইট দিয়ে কাজ করেছি। রাস্তার কাজের বিল কে দিবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্য রত্নার কাজ থেকে কাজটি নিয়েছিলাম। টাকা সে দিবে আমাকে। বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) প্রকৌঃ মোঃ রেজওয়ানুল রহমান বলেন,কাজের মান ভালো না হলে বা কাজে কোন প্রকার অভিযোগ পেলে ইটের ল্যাবরেটরী পরিক্ষা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। রাস্তার কাজে নিন্ম মানের মালামাল ব্যাবহার করার কোন সুযোগ নাই। বিষয়টি নিয়ে আমি ঠিকাদারের সাথে কথা বলব।