শরিফুল ইসলাম // শীতের সবজিতে বাজার ভরে উঠলেও মন খারাপ করেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে খুলনার ক্রেতাদের। মুলা আর পেঁপে ছাড়া কোনো সবজিই মিলছে না সহনীয় দামে।দাম চড়া চাল, আটা, চিনি ও তেলেরও। ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কমলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-খাসির মাংস ও সোনালি মুরগি।
খুলনার সন্ধ্যাবাজার,সোনাডাঙ্গা কাঁচাবাজার ও গল্লামারি এলাকার বেশকিছু বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহের এ সময়ে চড়া দামে ক্রেতাদের অসন্তোষ থাকলেও বরাবরের মত পাইকারি দাম ও পরিবহন ব্যয়কে দুষছেন খুচরা বিক্রেতারা।
ময়লাপোতা কাঁচাবাজারে কথা হলো সরকারি চাকুরে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে।তিনি খুলনার খবরকে বলেন,ডিউটি শেষে নগরীর সন্ধ্যা বাজারে এসেছি বাজার করতে শীত আসায় টাটকা কিছু সবজি কেনার জন্য এসেছি। কিন্তু দাম অনেক বেশি।মুলা-পেঁপে ছাড়া সবকিছু ৬০-৭০ টাকা কেজি নিচ্ছে। মাছ মাংসেরও দাম বেশি। মধ্যবিত্তের জন্য দিন পার করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
তবে এ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন সবজির দাম বেশি মানতে নারাজ। তার ভাষ্য মতে, আড়তে সবজি আসছে অনেক। কিন্তু পাইকারদের কাছ থেকে আমরা কমদামে কিনতে পারছি না। যেমন দামে কিনব, তেমন দামেই তো বিক্রি করতে হবে।
খুলনার গল্লামারী বাজারে কথা হয় একজন মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবি পারভেজ আলমের সাথে তিনি জানান,বর্তমান সময়ে বেতনের সাথে তাল মিলিয়ে চলা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। দাম বাড়তি সবকিছুর, চলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।কাঁচা শাক-সবজি কিনে খাওয়ার উপায় নেই।শীতের শুরুতে এত দাম হলে কি কিনে খাবো। মাছ-মাংস খাওয়াতো এখন বিলাসিতা।