মোঃ রফিকুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি || শার্শায় গঠিত হল সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ।ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্রেসক্লাব। সাংবাদিকরা সমাজের বিবেক সাংবাদিকরা তাদের লেখনি দ্বারা সমাজের ভূল ক্রটি বিচ্যুতি সংবাদ পরিবেশন করাই তাদের একমাত্র কাজ পেশা ও মূলনীতি।আর সাংবাদিকদের একমাত্র সংগঠনস্থল হল এই প্রেসক্লাব। যে সংগঠনই হোক না কেন সকল সংগঠনেই সভাপতি সম্পাদক এর মত দুটি শীর্ষ পদের জন্য সবাই মুখিয়ে থাকে। এমনকি তুমুল প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন অনেকে।
যেন এমনি প্রতিযোগিতায় নেমেছে যশোরের শার্শা উপজেলায় বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়া, অনলাইন পোর্টাল, প্রিন্ট পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
উপজেলার বড় ৩টি নাভারন, বেনাপোল, বাগআচড়া বাজার রয়েছে তার মধ্যে বন্দর নগরী বেনাপোলে রয়েছে ৫টি প্রেসক্লাব- বেনাপোল প্রেসক্লাব, পৌর প্রেসক্লাব, একতা প্রেসক্লাব,সীমান্ত প্রেসক্লাব,বন্দর প্রেসক্লাব,শার্শা উপজেলা প্রেসক্লাব, নাভারন প্রেসক্লাব ও বাগআচড়া প্রেসক্লাব সহ নবগঠিত শার্শা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ সহ মোট ৯টি প্রেসক্লাব।
আর যশোর জেলা শহরে একটি মাত্র প্রেসক্লাব ও জেলার অন্যান্য উপজেলায় এরকম প্রেসক্লাবের কোন ছড়াছড়ি নেই। এমনকি বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা বা উপজেলায় এত প্রেসক্লাব আছে কিনা সন্দেহ। আগে সমাজে সাংবাদিকতার পেশাকে একটি গুরুত্ব ও মর্যাদা বহন করত। আজ সেই পেশা সমাজে নিম্ন স্তরে নেমে গেছে কিছু অসৎ সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তিদের কারণে।
উপরোক্ত উল্ল্যেখীত ক্লাবগুলোর সদস্যবৃন্দ স্ব স্ব ক্লাব বা সংগঠন কর্তৃক চাহিদা মোতাবেক পছন্দনীয় কাংখীত পদ পদবী না পাওয়ায় তারা একাধিক সংগঠনের সাথে জড়িত এবং এসকল পদ বঞ্চিত সদস্যরা এসমস্ত প্রেসক্লাব দাড় করানোর মূলহোতা।
অনুসন্ধানে করলে জানা যাবে এসব প্রেসক্লাবের সাপ্তাহিক,মাসিক, বাৎসরিক ভাবে কোন সভা সমাবেশ বা মিটিং হয় কিনা সন্দেহ। হলেও কোন রেজুলেশন আছে কিনা সেটিও দেখার বিষয়।এমনকি একাক ব্যক্তির একাক ক্লাবের একাধীক পদপদবী রয়েছে। এসকল নবীন সাংবাদিকদের কারণে আজ প্রবীণ সাংবাদিকরা অসন্মানীত হচ্ছে অহরহ। এমনকি দীর্ঘদিনের পেশা থেকে তারা আজ নিজেদেরকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।উপজেলার কিছু সুবিধাবাদী নবীন সাংবাদিক তাদের স্বার্থসিদ্ধী ও নাম ভাঙ্গানোর জন্য অনিয়তান্ত্রিক সুবিধা আদায় করাই তাদের লক্ষ্য।যার ফলে এই উপজেলাতে এত প্রেসক্লাব এত সংগঠন ও এত ভূইফোড় সাংবাদিকদের ছড়াছড়ি পরিলক্ষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নিয়মনীতি না থাকায় যেনতেন ভাবে এ সকল সাংবাদিকদের জন্ম হচ্ছে এবং ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রেসক্লাব।স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিক সহ এলাকার সচেতন সূধী সমাজ মনে করে।সরকার কর্তৃক কোন নির্দেশনা জারী করলে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কোন অসৎ সাংবাদিকদের জন্ম হবে না এবং অযথা কোন প্রেসক্লাব তৈরী হবে না।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।